সৈয়দ জালাউদ্দিন এর মসজিদ
প্রাচীন বাংলার এক বিখ্যাত বন্দর ছিল আমাদের এই জেলার সপ্তগ্রাম ।। সরস্বতী নদী কে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল ব্যবসা বাণিজ্য কেন্দ্র ।। চতুর্দশ শতকে সপ্তগ্রামের শাসক ফকরুদ্দিনের রাজত্বকালে আফ্রিকান পরিব্রাজক ইবন বতুতা এখানে আসেন ।। তবে কালের স্রোতে স্রোতস্বিনী সরস্বতী স্রোত হারিয়েছে এখন এই নদী কে নালা বলে ভুল হতে পারে ।। আর এই নদীর স্রোতের সাথে হারিয়েছে এই বন্দরের জৌলুষ ।। বর্তমানে সপ্তগ্রাম আদিসপ্ত গ্রাম নামে পরিচিত ।। এই জেলার প্রাচীন জনপদ ।।
তবে সেই সময় কার স্মৃতি নিয়ে আজও আদিসপ্ত গ্রামে কিছু স্থাপত্য রয়েগেছে ।।
যেমন সৈয়দ জালাউদ্দিন এর মসজিদ ।।
( সৈয়দ জালাউদ্দিন এর মসজিদ এর পশ্চাৎ ভাগ )
যেটি বঙ্গানুবাদ করলে যেটা হয় -
( আরবী ভাষায় লেখা শিলালিপি )
" মহম্মদের উক্তি এই যে, যিনি মসজিদ নির্মাণ করেন তার উপর , তার গৃহের উপর এবং তার সঙ্গীদের উপর ঈশ্বরের কৃপা সংরক্ষিত হয় ।। যিনি ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে একটি মসজিদ নির্মাণ করেন , তার জন্য ঈশ্বর স্বর্গে একটি ঘর নির্মাণ করেন "
( মসজিদের পাশের সমাধী ক্ষেত্র)
মসজিদ টির পাশেই একটি বাধানো স্থানে রয়েছে তিনটি সমাধী ।। এগুলি সৈয়দ জালাউদ্দিন ও তার পরিবার বর্গের সমাধী ।।
মসজিদ টির পাশেই একটি বাধানো স্থানে রয়েছে তিনটি সমাধী ।। এগুলি সৈয়দ জালাউদ্দিন ও তার পরিবার বর্গের সমাধী ।।
হাওড়া থেকে বর্ধমান মেন লাইনে আদিসপ্তগ্রাম স্টেশনে নেমে অটো কিনবা টোটো তে পৌছে যেতে পারেন এই স্থানে ।। আর সড়ক পথে দিল্লী রোড ধরে আদিসপ্তগ্রাম মোড় থেকে সরস্বতী নদীর ব্রিজ পেরিয়ে কিছুটা এগোলেই ডানদিকে জি।টি রোডের উপর এই মসজিদ ।।
No comments:
Post a Comment