Friday, 30 October 2020

সাজি বাড়ির ঠাকুর দালানে শক্তির আরাধনা

                         সাজি বাড়ির ঠাকুর দালানে শক্তির আরাধনা 



পুজো পরিক্রমা ব্যাপার টা বেশ মজার, তবে এ পরিক্রমা প্যান্ডেলে ঘুরে ঠাকুর দেখা নয়। এই পরিক্রমায় প্যান্ডেলের বদলে বনেদি বাড়ির ঠাকুর দালান। এক একটা ঠাকুর দালান যেন এক একটা উপন্যাস। কত চরিত্র, কত কাহিনী আর সবার মধ্যমণি দূগ্গা ঠাকুর আরও কত রূপ বৈচিত্র্য, আর মানুষজন। আসলে পরিক্রমা তো অজুহাত মাত্র। পূজোর ছুতোয় আলাপ পরিচয় আর নিজেকে  সমৃদ্ধ করে নেওয়া। পুজো আসছে মানেই যেমন কুমোর পাড়ায় নিত্য যাতায়াত তেমনি খোঁজ নেওয়া আশেপাশের বনেদি বাড়ি গুলির। চেনা বাড়ির ভিড়ে অচেনা অজানার খোঁজ ঠিক মিলে যায়। কিংবা পথ চলতে চলতে হঠাৎ চোখে পড়ে যায় কোন সিংহদুয়ার পেরিয়ে ঠাকুরদালান। নতুন নতুন গন্তব্য আর নতুন নতুন কাহিনী , এবারের শারদ উৎসব ব্যতিক্রমী হলেও এই বনেদি বাড়ি পরিক্রমায় ভাটা পড়েনি একইভাবে ভাটা পড়েনি বাড়ির মানুষের আদর আপ্যায়নে।  তবে ওই যে বলছিলাম হঠাৎ চোখে পড়ে যাওয়া। এই বছর ও সেই রকমই ঘটলো। আসি তাহলে সেই গল্পে।



এবছর সপ্তমীর দুপুর পেটে খিদে খিদে ভাব তখন জানান দিচ্ছে বেলা বেশ খানিকটা হলো। আসলে আবহাওয়া মেঘলা থাকলে বোঝা যায় না। সঙ্গীর অনুরোধে নির্দিষ্ট রাস্তাটা  বদলে অন্য রাস্তা দিয়ে ফেরার পালা। বলতে বাঁধা নেই রাস্তা পরিবর্তন না করলে এই হঠাৎ প্রাপ্তিটা ঘটতো না। সারা দিনের ঘোরাঘুরি ক্লান্তি নিয়ে চলছি আমরা। হঠাৎই রাস্তার ধারে চোখ আটকালো একটা বড় দরজার দিকে। দরজা ছাড়িয়ে বেশ খানিকটা গলি পথ জুড়ে আলপনা আর গলি পথের দু’ধারে পুরনো ইট খসা দেওয়াল।  গলি পথটা মিশেছে একটা থামওয়ালা ঠাকুরদালানে যে দালান আলো করে রয়েছে দুর্গা মূর্তি। পুরো পরিবেশটা দূর থেকে দেখেই চমক লাগলো। খিদে, তেষ্টা , ক্লান্তি উধাও ভিতরে যেতেই হবে। আর ছবি তোলার শখ যখন এমন ছবি কি মিস করা যায়। দরজা পেরিয়ে  বলা ভালো সিংহদুয়ার পেরিয়ে ঠাকুরদালান, লম্বা থামের মাঝে তখন দেবী মূর্তি ঢাকের আওয়াজ আর মন্ত্রোচ্চারণে মাতোয়ারা ঠাকুরদালান চত্বর।  চমকালাম আবার, এই বাড়ির দেবীমূর্তি অন্যরকম এখানে মহিষাসুরমর্দিনী দেবী মা সপরিবারের রূপে নয়। অর্থাৎ দেবীর সাথে গণেশ, লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক নেই। কিন্তু কাদের বাড়ি এইটা, কি বা এর ইতিহাস।  কিছুই জানি না আমরা শুধু জানি আমরা রয়েছি হুগলির বাঁশবেড়িয়ার একটি প্রাচীন বাড়ির ঠাকুরদালানে ।

চোখে কৌতূহল নিয়ে ঠাকুর দালানের এক কোনায় আমাদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে এগিয়ে এলেন এক প্রৌঢ়া। আলাপ পরিচয় সারা হলে তিনি জানালেন তিনি এই বাড়িরই প্রবীণ সদস্যা। ওনার ব্যাস্ততার কারণে ওনার নাম জানা না হলেও এই টুকু আমরা জানতে পেরেছি , আমরা রয়েছি বাঁশবেড়িয়ার বিখ্যাত সাধু পরিবারের ঠাকুর দালানে। স্থানীয় মানুষের কাছে যে বাড়ি সাজিবাড়ি নামে পরিচিত। 



বাঁশবেড়িয়ার সাজিবাড়ির এই দুর্গাপুজোর সাথে জড়িয়ে রয়েছে তিনশো বছরের ইতিহাস। তখন বাংলায় সপ্তগ্রাম বন্দরের নাম জগৎ বিখ্যাত। এক দিকে সরস্বতী নদী অন্য দিকে ভাগীরথী নদী কে কেন্দ্র করে পূর্ব ভারতের নদীপথে ব্যাবসা বাণিজ্যের মূল কেন্দ্রবিন্দু এই সপ্তগ্রাম বন্দর। এই সময় বিহারের মুঙ্গের থেকে ব্যাবসা বাণিজ্য করার জন্য বাংলায় এলেন রামময় সাধু। তিনি শুরু করলেন সাজি মাটির ব্যাবসা। তখনও সাধু পরিবার মুঙ্গেরেই বসবাস করে। পরবর্তীতে সপ্তগ্রাম বন্দর কৌলিন্য হারালেও রামময় সাধুর সাজি মাটির ব্যাবসা ততদিনে বিস্তার লাভ করেছে। ওপর দিকে তখন ইংরেজ সরকারের জমি বন্টন নীতি শুরু হয়েছে। ঠিক এই সময় রামময় সাধু তৎকালীন বাঁশবেড়িয়ার রাজ পরিবারের সিংহাসনে রয়েছে রাজা ধ্রুব দেবরায়। সরকারি জমি বন্টননামায় এই ধ্রুব দেবরায়ের থেকে জমি ইজারা নেন রামময় সাধু। তারপর থেকেই সাধু পরিবার বিহারের মুঙ্গের থেকে বাংলার বংশবাটি, এখনকার বাঁশবেড়িয়ায় এসে বসবাস শুরু করেন। এই সাধু পরিবারের প্রধান ব্যাবসা ছিল সাজিমাটির। সেই কারণে সাধু পরিবারের এই বাড়ি সাজিবাড়ি নামেই পরিচিত।


 

সাধু পরিবারের সদস্য অতনু সাধুর কাছে তাদের পরিবারের ইতিহাস জানতে জানতে চোখের সামনে যেন সেই সপ্তগ্রাম বন্দর, সেই পুরোনো আমলের ছবি ভেসে উঠছিল। সাধুদের ঠাকুর দালান তখন যেন ইতিহাসের প্রেক্ষাপট। সম্বিৎ ফিরলো ঢাকের আওয়াজে, অতীত থেকে একেবারে বর্তমানে অতনু বাবু হাসিমুখে তখনও বলে চলেছেন তাদের পারিবারিক ইতিহাসের কথা। আগেই বলেছি সাধু পরিবারের এই দুর্গা মূর্তি অন্য রকম। আসলে এই শরৎকালে দুর্গাপূজা তো অকাল বোধন। সেই অকাল বোধনের শ্রীরামচন্দ্রের পূজিত দেবী মূর্তির রূপই এই সাধু পরিবারের ঠাকুর দালানে বিদ্যমান। এখানে মূলত শক্তির আরাধনাই হয়। তবে সাধু পরিবারে বলি প্রথার চল নেই। দেবীর মহিসমর্দিনী রূপ সত্যিই মনোমুগ্ধকর। কথায় গল্পে ঢাকের বোলে আশেপাশের মানুষের হৈ হুল্লোড়ের সাথে সাথে দুপুর গড়িয়ে তখন বিকাল। আগে থেকে তৈরি তালিকা জানান দিচ্ছে এখনো কয়েকটা বাড়িতে যাওয়া বাকি। কাজেই বিদায় জানাতে হবে সাধু পরিবারকে। তবে রাস্তা ভুলে তিনশো বছরের ইতিহাসের মুখোমুখি হয়ে যে অনন্য অভিজ্ঞতা হলো তা নস্টালজিয়া হয়ে থেকে যাবে। 

সুমন্ত বড়াল 

Monday, 12 October 2020

আশাপূর্ণা দেবীর বাড়ির দুর্গাপূজা (বেগমপুরের শতবর্ষ পুরানো গুপ্তবাড়ির পুজো )

 

                   আশাপূর্ণা দেবীর বাড়ি দুর্গাপূজা                          

        বেগমপুরের শতবর্ষ পুরানো গুপ্তবাড়ির পুজো 


প্রাক্‌ শারদীয় এই মরশুম টা ভীষণ ই সুন্দর। মহৎসবের প্রস্তুতি তে প্রকৃতি নিজেকে নতুন করে সাজিয়ে তোলে। আর প্রকৃতির এই বাহারের স্বাদ নিতে বাইরে বেড়িয়ে পড়তেই হবে।

প্রাক্‌ শারদীয় এই মরশুমে খুব কমন গন্তব্য কুমোর পাড়া, আর সেখানে দেখা পটুয়া দের শিল্প কর্ম, কিংবা কাশ ফুলে ঢাকা নদীর পাড়।

এসব কিছু বাদ দিয়ে আর এক গন্তব্যে পৌঁছে যেতে মন চায়। যদিও বছরের যেকোন সময় ই সেই জায়গা ভীষণ আকর্ষণীয় তবু এই সময় সেই জায়গার এক আলাদা আকর্ষণ আছে। হ্যাঁ, আমি বনেদি বাড়ির অন্দর এর কথা বলছি। সেই বাড়ি গুলো, যেখানে আজও দূর্গাপুজো হয়। এই প্রাক্‌ পুজো মরশুমে যে বাড়ি গুলোর ঠাকুর দালানে চোখে পড়ে ঠাকুর গড়ার ছবি,যে দালানের দেওয়ালে কান পাতলে অতীত থেকে ভেসে আসে উৎসব এর হাজার কলরব। সেই সব বাড়ি গুলোর জৌলুষ এ ভাটা পড়লেও আসন্ন উৎসব এর মেজাজ সেখানে অন্যরকম। 

ঘুরতে ফিরতে এমনই এক বাড়িতে পৌঁছে যাওয়া,হুগলী র বেগমপুর অঞ্চলের গুপ্ত বাড়ি।

এখানে একটা মজার কথা বলি, এমন ঘটনা মাঝে মধ্যে ঘটে যায়।  



আসলে কোন পূর্ব প্রস্তুতি বা হিসাব কষে ঘোরাঘুরি করার স্বভাব আমার নয়,যখন যেখানে যা চোখে পরে দাঁড়িয়ে পড়ি।আর হঠাৎ ই কোন গুপ্তধন পাওয়ার মতো পেয়ে যাই কোন দারুন তথ্য।

বেগমপুরের গুপ্ত বাড়ির ক্ষেত্রে ও তাই হল, একটা পুরানো ঠাকুর দালান দেখে ভিতরে ঢুকে তো পড়ি কিন্তু আলাপ পরিচয়ে জানতে পারি গুপ্ত বাড়ি র মেয়ে স্বনামধন্য লেখিকা আশাপূর্ণা দেবী।

অর্থাৎ এককথায় যে বাড়ির দুর্গাপূজা নিয়ে কথা বলছি তা লেখিকা আশাপূর্ণা দেবীর বাড়ির দুর্গাপূজা।

গুপ্ত বাড়ির ঠাকুর দালান পেড়িয়ে গুপ্ত বাড়ির ভিতর ঢুকতেই আলাপ হল উজ্জ্বল গুপ্ত-র সাথে, উজ্জ্বল বাবু শিক্ষক ছিলেন, বর্তমানে অবসর প্রাপ্ত। আলাপ হল ওনার দাদা নিশীথ গুপ্ত মহাশয়ের সাথে। গুপ্ত বাড়ির এই দুজন মানুষের সম্পর্কে প্রথমেই যে কথাটি মাথায় আসে, এনারা এনাদের বয়স কে হারিয়ে দিয়েছেন। নিশীথ বাবুর বয়স আশি পেরলেও ষাট বলে ভুল হয় আর দ্বিতীয় ওনাদের আতিথেয়তা ও ব্যবহার যা মনমুগ্ধকর।

ওনাদের থেকে বয়েসে অনেকটা কাঁচা হলেও গল্প আড্ডা জমে উঠল। প্রসঙ্গতই এলো গুপ্ত বাড়ির পুজোর কথা, আশাপূর্ণা দেবীর কথা। উজ্জ্বল বাবু জানালেন, আশাপূর্ণা দেবী এই বাড়িরই মেয়ে। ওনাদের জ্ঞাতি সম্পর্কে। তবে গুপ্ত বাড়ির দূর্গাপুজোর থেকেও কালী পুজো আরও প্রাচীন, এবং আমরা যে ঠাকুর দালান দেখছি সেই দালান আসলে পঞ্চমুন্ডির আসন এবং তাদের কালী পুজো আড়াইশো বছরের পুরানো। তবে গুপ্ত বাড়ির এই দুর্গাপূজোও শতবর্ষ পেরিয়ে গেছে। যে পুজো আজও চলছে। গুপ্ত বাড়ির পুজোর জৌলুষ এখনো একই রকম ভাবে বজায় রেখে চলেছেন শ্রী নির্মল চন্দ্র গুপ্তের পরিবারের মানুষজন। 

শ্রী উজ্জ্বল গুপ্ত 

তবে পুজোর কথা জানতে গেলে একটু অতীত চর্চা প্রয়োজন। বেগমপুর গ্রামে তখন দুর্গাপুজো হয়না বললেই চলে,পুজো বলতে বেশ কিছুটা দূরে বাকসা কিম্বা জনাই এর জমিদার বাড়ির পুজোগুলো। কাজেই উৎসবের দিনে এই অঞ্চলের মানুষের বেশ মন খারাপ। বেগমপুর অঞ্চলের মানুষের এই মন খারাপ চোখ এড়ালোনা সেই সময়ের এই অঞ্চলের সমাজসেবী, ওরিয়েন্টাল কোম্পানিতে কর্মরত এবং বেগমপুর অঞ্চলের “দি ক্লাব” – এর প্রতিষ্ঠাতা শ্রী নির্মল চন্দ্র গুপ্ত মহাশয়ের। এই মফস্বল এলাকার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে তিনি যুক্ত ছিলেন। কাজেই এই কথা বলাই যায় নির্মল চন্দ্র ছিলেন খুব পরিচিত মুখ। এই নির্মল চন্দ্র ঠিক করলেন এই অঞ্চলের মানুষদের নিয়ে দূর্গাপূজা শুরু করবেন। যেমন ভাবা তেমনি কাজ কিন্তু সেই গুপ্ত বাড়ির মানুষজন চাইল পুজো যখন হবে তখন সেটি গুপ্ত বাড়ির ঠাকুর দালানে কেন নয়। কিন্তু পঞ্চমুন্ডির আসনে কি দুর্গাপূজা সম্ভব।

আসলে মানুষের ইচ্ছে-খুশীর কাছে নিয়ম তুচ্ছ। আর মায়ের আবির্ভাবই তো হবে, তাই সব বাঁধা পেড়িয়ে শ্রী নির্মল চন্দ্র গুপ্ত প্রথম শুরু করলেন এই গুপ্ত বাড়ির দূর্গাপূজা।



উজ্জ্বল বাবু তার বাবার কথা বলতে বলতে নস্টালজিক হয়ে পড়ছিলেন, আর ওনার কথা বলা ধরন একটা দারুণ গল্প শোনার অনুভূতি যেন। তবে এই দুর্গাপূজা নিয়ে একটি ছোট কাহিনী শোনালেন নিশীথ গুপ্ত মহাশয়। তার কথায়, কোন এক সন্ধ্যাবেলা ওনাদের ঠাকুমা দেখেন তাদের ঠাকুর ঘর থেকে এক কিশোরী মেয়ে হঠাৎ ঠাকুর দালানের দিকে গিয়ে মিলিয়ে যায়, ঠিকই একই রকম দৃশ্য নির্মল চন্দ্র ও দেখেন। এই ঘটনা কোন দৈব ঘটনা নাকি নিছক চোখের ভুল সেটা নিয়ে দ্বন্দের অবকাশ নেই।

এককথায় মানুষের জন্য কিংবা দৈব আদেশেই হোক গুপ্ত বাড়িতে যে দুর্গাপূজা শুরু হয় টা আজও মহাসমারোহে পালিত হয়ে চলেছে। সেই শত বর্ষ আগে যে সংকল্প নিয়ে শুরু হয়েছিল আজও সেই ভাবে হয়ে চলেছে। পুজোর পাঁচদিন গুপ্ত বাড়ির ঠাকুর দালান শুধু গুপ্ত বাড়ির থাকেনা, সারা বেগমপুরের মানুষ এই গুপ্ত বাড়ির পুজোয় অংশগ্রহণ করে। সব মিলিয়ে পুজোর পাঁচদিন মেতে ওঠে গুপ্ত ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চল এই গুপ্ত বাড়ির পুজোকে কেন্দ্র করে। 

গুপ্ত বাড়ির পুজো হয় শাক্তমতে। পুরানো রীতি মেনে প্রতিমার দলার সাজ ও তার সাদা রঙ শতবর্ষ পার করেও অপরিবর্তিত। সাদা রঙের ডাকের সাজের প্রতিমা বেশ মনমুগ্ধকর। গুপ্ত বাড়িতে বলি প্রথা প্রচলন রয়েছে। স্থানীয় মানুষ জন মানসিকের বলি উৎসর্গ ও করে থাকেন। তবে এই বাড়ির পুজোর আকর্ষণীয় বিষয় দশমীর নরনারায়ণ ভোজন। দশমীর দিন দুপুরে স্থানীয় অঞ্চলের সকল ধর্ম নির্বিশেষে মানুষ গুপ্ত বাড়িতে আসেন ভোগ গ্রহন করতে। সন্ধ্যেতে সরস্বতী নদীতে বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে সমাপ্তি হয় শারদ উৎসবের। আর প্রস্তুতি শুরু হয় কালীপুজোর। আগেই জানিয়েছি গুপ্ত বাড়ির কালীপূজো বহু প্রাচীন।


প্রাক পুজো ভ্রমণে বেগমপুরের গুপ্ত বাড়ি মন ছুঁয়ে গেল। বাড়ির সদস্যদের আতিথেয়তা যেমন মন ছুঁয়ে গেল তেমনি এই বাড়ির সাথে আশাপূর্ণা দেবীর সূত্র ও কোথাও যেন অন্য একটা আকর্ষণ এনে দেয় এই বাড়ির প্রতি। কাজেই যে পুজোয় একসময় আশাপূর্ণা দেবী অংশগ্রহণ করেছেন, সেই শতবর্ষ পেরোনো গুপ্ত বাড়ির পুজোয় আপনিও ঘুরে যেতে পারেন। আশা করি মন্দ লাগবেনা।

সুমন্ত বড়াল 

ভক্তের সাথে পথেই বিরাজ করেন " পথের মা "

             ভক্তের সাথে পথেই বিরাজ করেন " পথের মা " গুগুল ম্যাপ পিচ রাস্তা থেকে ঢালাই রাস্তা পেরিয়ে বাড়ির উঠান দিয়ে যে মোড়ে নিয়ে ...